কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি আশংকা
এ.এম. উবায়েদ, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার ধলা ইউনিয়নের সেকান্দর নগর কড়ইতলা বাজারে শনিবার ( ১৭ নভেম্বর) ভোর সকাল আনুমানিক ৫টা ৩০ মিনিটে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে পাঁচটি ফার্নিচারের দোকানের প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদর বাজার থেকে ৩ কিলোমিটার উত্তরে সেকান্দরনগর কড়ইতলা বাজার। শনিবার ভোরে বাজারের মসজিদ থেকে মুসল্লিরা ফজরের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আগুনের ফুলকি দেখে চিৎকার শুরু করে।
পরে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে পানি দিতে শুরু করে। ততক্ষণে ৩টি দোকান পুরোপুরি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে তাড়াইল ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিডার মো. হাবিবুর রহমান পাঁচজন ফায়ারম্যানসহ দুটি ইউনিট ৬ টা ২৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ১ ঘন্টা ২০ মিনিট চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন জানান, আমরা আমাদের দোকানে রাত্রিযাপন করিনা। আগুনের সূত্রপাত কোথায় থেকে তা বলতে পারছি না। ফায়ার সার্ভিসের লোকজনের কাছ থেকে জানতে পেরেছি বৈদ্যুতিক শর্টসাকির্ট থেকে আগুন লেগেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তিনটি দোকানের সকল মালামাল পুড়ে যাওয়ায় প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তারা জানান। ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন, উপজেলার জাওয়ার ইউনিয়নের ছনাটি গ্রামের আবদুছ ছামাদের ছেলে মো. হানিফ মিয়া, একই গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে জহিরুল ইসলাম ও জাওয়ার গ্রামের ছনু বেপারির ছেলে শফিকুল মিয়া। তাছাড়া পার্শ্ববর্তী আরো দুটি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তারা হলেন, সেকান্দরন্গর গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে দবীন ইসলাম ও বোঁরগাও গ্রামের মোতালিবর ছেলে আবুল বাশার। খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আজিজুল হক ভুইঁয়া মোতাহার, উপজেলা নির্বাাহী কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার এবং ধলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মবিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থদের ত শান্তনা দেন।
এ ব্যপারে উপজেলা চেয়ারম্যান আজিজুল হক ভুইঁয়া মোতাহার বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ১৮ নভেম্বর রবিবার কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মাসিক সমন্বয় সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করবো এবং ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তার দিকটি তুলে ধরবো।